“বাংলায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: শুরু থেকে আয় করার সহজ গাইড

বাংলায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার সহজ উপায়, কমিশনের হার, মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট করা, এবং সফল হওয়ার কৌশলসহ বিস্তারিত গাইড পড়ুন। নতুনদের জন্য একদম শুরু থেকে আয় করার উপায়!

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত গাইড

"বাংলায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: শুরু থেকে আয় করার সহজ গাইড

বাংলাদেশে অনলাইনে আয়ের পদ্ধতি হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য প্রচার করে কমিশন অর্জন করতে পারেন। আসুন, জেনে নিই কীভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন, এর সুবিধাগুলো, কত প্রকার আছে এবং কিভাবে এটি মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং মডেল, যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন অর্জন করতে পারেন। এটি সহজভাবে বলা যেতে পারে একটি প্রমোশনাল মডেল যেখানে তৃতীয় পক্ষ পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করে সেল বাড়ানোর জন্য কাজ করে।

 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি তৃতীয় পক্ষের (কোম্পানি বা বিক্রেতার) পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন অর্জন করতে পারেন। এতে মূলত কোম্পানি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার, এবং ক্রেতার মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেখানে কোম্পানি তার পণ্য বিক্রি বাড়াতে অ্যাফিলিয়েটকে কমিশন দেয়।

উদাহরণ হলো :

ধরুন, রিনা একটি ব্লগ চালায় যেখানে সে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য সম্পর্কিত পণ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে। সে অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন বিউটি প্রোডাক্টের লিঙ্ক তার ব্লগে যুক্ত করেছে। যখন পাঠকরা রিনার ব্লগে গিয়ে সেই লিঙ্কগুলির মাধ্যমে প্রোডাক্ট ক্রয় করেন, তখন রিনা প্রতি বিক্রয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পায়।

এতে কোম্পানির জন্য সুবিধা হলো তার পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পায় এবং রিনা কোনো পণ্য স্টক করার প্রয়োজন ছাড়াই আয় করতে পারে।

 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে শুরু করব?

শুরু করার ধাপগুলো:

1. একটি নির্দিষ্ট নীশ নির্বাচন করুন: এমন একটি নীশ বেছে নিন, যেটি সম্পর্কে আপনার আগ্রহ আছে এবং মানুষের মধ্যে চাহিদাও আছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, বা ফ্যাশন।

2. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন: বিভিন্ন কোম্পানি যেমন অ্যামাজন, কপাল্লা, ডিগিস্টোর প্রভৃতি নিজেদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করুন।

3. একটি প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন: আপনার প্রোডাক্ট প্রমোট করার জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন যেমন ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউব।

4. পণ্য প্রচার শুরু করুন: প্রয়োজনীয় রিভিউ, ব্লগ পোস্ট বা ভিডিও তৈরি করুন এবং শেয়ার করুন।

5. বিশ্লেষণ ও অপ্টিমাইজ করুন: আপনার আউটপুট নিয়মিত বিশ্লেষণ করুন এবং অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনার মার্কেটিং কার্যক্রম উন্নত করুন।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?

কমিশনের হার কোম্পানি এবং প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে কমিশনের হার ১-১০% পর্যন্ত হতে পারে। ডিজিটাল পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময় ৫০% বা তার বেশি কমিশন পাওয়া যায়।

 

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব?

আজকের দিনে মোবাইল ডিভাইস দিয়েই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। কিছু সহজ ধাপ:

1. অ্যাফিলিয়েট অ্যাপস ইনস্টল করুন: যেমন অ্যামাজন বা আলি এক্সপ্রেসের অ্যাফিলিয়েট অ্যাপ।

2. মোবাইল-ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট তৈরি করুন: ব্লগ বা রিভিউ ভিডিও বানানোর জন্য মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

3. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক প্রভৃতিতে লিঙ্ক শেয়ার করুন।

সেরা ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ ২০২৪ | নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রধানত কয়েকটি প্রকারের হতে পারে:

1. পে পার সেল (PPS): এখানে প্রোডাক্ট বিক্রি হলে আপনি কমিশন পাবেন।

2. পে পার ক্লিক (PPC): দর্শক আপনার লিঙ্কে ক্লিক করলেই কমিশন পাবেন।

3. পে পার লিড (PPL): দর্শক একটি নির্দিষ্ট অ্যাকশন নিলে (যেমন সাইন-আপ) কমিশন পাবেন।

 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

কম বিনিয়োগ: প্রোডাক্ট না কিনে বা স্টক না রেখে আয় করা সম্ভব।

নিয়মিত আয়ের সুযোগ: একবার কন্টেন্ট তৈরি করলে লম্বা সময় ধরে কমিশন পাওয়া যায়।

ফ্লেক্সিবিলিটি: এটি যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গা থেকে করা যায়।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

1. ডিজিটাল মার্কেটিং ও SEO: সঠিকভাবে মার্কেটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে জানতে হবে।

2. কন্টেন্ট ক্রিয়েশন: আকর্ষণীয় কন্টেন্ট বানাতে হবে যা দর্শককে আকৃষ্ট করবে।

ফেসবুক বিজনেস আইডিয়া: কাপড় ও পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা শুরু করুন

3. বিশ্লেষণ ক্ষমতা: মার্কেটিং ডেটা বিশ্লেষণ করতে জানতে হবে যাতে আপনার প্রচেষ্টা সফল হয়।

 

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর প্রোডাক্ট লিঙ্ক নিয়ে কন্টেন্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতি সেল থেকে কমিশন অর্জন করবেন।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রচেষ্টা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন।

আরো পড়ুন,

মাসে ২০ হাজার ইনকাম করুন

ঘরে বসে ইনকাম করার অ্যাপস

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *